যারা আগের বছর এইসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এক বা ততধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রেও জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের উপর মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার দুপুরে
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা কি পদ্ধতিতে হবে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই এ সম্পর্কে এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ডা.
দীপু মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরীক্ষার জন্য দ্বিগুণ কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। তবে এটি শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। বিষয় কমিয়ে বা সিলেবাস কমিয়েও হয়তো পরীক্ষা নেয়া যায়। কিন্তু সেটা করলেও কিছু সমস্যা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরীক্ষার সময়ে কোন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে তিনি হয়ত কেন্দ্রে আসতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ কি করছে সেটিও আমরা দেখছি। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের পরীক্ষা বাতিল করেছে, কেউ-কেউ স্থগিত করেছে। আমাদের কাছে পরীক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিবেচনায় আমরা এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের কোনটি ভালো হবে সেটি দেখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, এসএসসি এবং জেএসসির ফলাফল অনুযায়ী গড় ফলাফল মূল্যায়ন করে ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক এসএসসি পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে ভিন্ন বিভাগে যান সেক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে কি হবে সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করব। যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
Свежие комментарии